আমার তালিকায় যাদের নাম আজকে প্রকাশ করছি তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমার কাছে কম করে হলে ৪০/৫০ টা জালিয়াতির প্রমাণ আছে, কবে কোথায়,কার কাছ থেকে কতো টাকা নিয়েছে আর নেওয়ার পর কি করে সেই অসহায় মানুষ গুলোকে ব্লক করে রাখছে। তান্ত্রিক ব্লাক ম্যাজিক চ্যানেলটি তারা বেশি চিনবেন যারা ইউটিউব এ আশা নিয়ে ঢুকেন যে, কোন বাবা হয়তোবা আপনার কষ্টটা লাঘব করতে আপনাকে হেল্প করবে।এ চ্যানেল টা যে চালায় তার নাম রেজওয়ান রফিকি! বয়স ২৫/৩০ এর বেশি হবে না। নিজেকে বড় মাপের কবিরাজ দাবী করলেও প্রকৃত অর্থে সে একজন বড় মাপের ধোকাবাজ, সে বিভিন্ন বই থেকে মন্ত্র তন্ত্র সংগ্রহ করে সেটা ইউটিউব এ নিজের বলে চালায়। তাকে আপনি কখনো কল দিয়ে পাবেন না কারন টাকা মারতে মারতে এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, কল ধরতেও ভয় পায়, বাটপারির প্রথম ধাপ হচ্ছে সে সবাইকে এস এম এস করে নিজেদের সমস্যা বলতে বলে কারন দেখে যারা এস এম এস করছে তাদের কাছ থেকে আগে টাকা মেরেছে কিনা, যদি দেখে আগের পরিচিত তাহলে ব্লক দিয়ে দেয় আর অপরিচিত হলে সাথে সাথে ই এস এম এস করে, এমন ভাবে আপনাকে পটাবে যে কাজ রাত ভোর হলেই শেষ কিন্তু ও ত কাজের "ক"ও জানে না এটা বেশিরভাগ মানুষ ই জানেন না। যেমনঃগত দু মাস আগে সৌদি প্রবাসি এক ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি ফিয়ে ৩৫০০০ টাকা নিয়েছে, এখন সেই লোক কে ব্লক দিয়ে রেখেছে। ওই প্রবাসী ভাই দিন রাত এস এম এস করে কিন্তু রেজওয়ান ত টাকা মেরে সাথে সাথেই মোবাইল অফ করে ফেলে,পাবে কই???এই রেজওয়ান নিজের এলাকায় ২/৩ বার বিচারের মুখোমুখি হয়েছে, এলাকাবাসী তাকে কয়েকবার মারধর ও করেছে, এক শালিসে সে প্রায় ২৫০০০ টাকা মুচলেখা ও দিয়েছিল যে আর এমন ভন্ডামি করবে না কিন্তু লোভ আর ধোকাবাজি তার রক্তে মিশে আছে সে তা ছাড়তে পারেনি।চ্যানেল যখন খুলেছিল তখন ওর দাদার কিছু লোক দিয়ে প্রচার করাত। গত মার্চ এ এই রেজওয়ান কে গ্রামবাসী প্রায় ৪ ঘন্টা গাছের সাথে বেধে রেখে নির্যাতন করেছিল কারন সে গ্রামের এক লোক কে ৭ দিনে বৌকে বশিকরন করে দিবে বলে ২০০০০ টাকা নিয়েছিল কিন্তু টাকা নেওয়ার পর রেজওয়ান আগের মতোই হাওয়া! তাই এবার তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। বর্তমানে জামিনে আছে সে।
বড় মাপের বাটপার যে শুধু বাংলাদেশের তান্ত্রিক চ্যানেল গুলো তা নয়। এই লোক কে হয়ত অনেকে ই চিনবেন। নিজেকে মা তারার ভক্ত পরিচয় দেওয়া এই বাটপারের নাম তারানাথ। সে কোন তান্ত্রিক নয়, সাধনা মাত্র শিখতে চলেছে, ভিডিওতে যা বলে তার সবটাই হলো মিষ্টি কথায় লোক ভুলানো আর টাকা মারার ধান্দা, অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা থাকেন যারা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেন, তান্ত্রিকদের কাছে বিভিন্ন কাজের জন্যে আসেন, সেই সব প্রবাসীদের টার্গেট করাই এই ভণ্ডর কাজ। সে এ পর্যন্ত প্রায় ২০/৩০ হাজার টাকার জালিয়াতি করে ফেলেছে আমাদের ই বাংলাদেশের এক ভাইয়ের সাথে আর তার ১০০% প্রমাণ ও আছে।
এমন আরো অসংখ্য চ্যানেল আছে যারা প্রতিনিয়ত সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের রক্ত পানি করে উপার্জিত টাকা কে মেরে খাচ্ছে! ভাই আপনারা একটু বিবেক দিয়ে ভাবেন, কাদের হাতে টাকা দিচ্ছেন! এরা ত মানুষ না! ওরা হচ্ছে একেকটা নরপশু! রক্তচোষা বাদুর!ইউটিউব এ কোন তান্ত্রিক নেই! যে কয়েকজন আছেন তারা কেউ ই ইউটিউবার নয়, উনারা কোন তান্ত্রিক নয়, সবাই আল্লাওলা, পীর, আর এসব গাজাখোর রা ত নামাজ কি এটাই জানে না, সাধনার কোন নাম ও বলতে পারেনা! তারানাথ এর ভিডিও যারা দেখছেন তারা বুঝবেন, সে জিন কি এটাই জানে না! রুহ কি তা জানে না!রেজাউল গায়েব কি তা কোন তান্ত্রিক জানে না! বশিকরন ২৪ ঘন্টায় করতে হলে কোন জায়গায় কি লাগবে তাও বলতে পারে না, বই বিদ্যা দিয়ে যদি সব হতো তাইলে ত দোকানদার রা আরো বড় কবিরাজ হয়ে যেতো! সব ই বিবেক দিয়ে চিন্তা করতে পারেন তাহলে এদের কে বিশ্বাস করে টাকা ধরা খেয়ে কান্না করতে হবে না! একবার ভাবেন, বশিকরন কি হাতের মোয়া যে চাইলেই ১ ঘন্টায়, ১ দিনে হয়ে যাবে? এসব হচ্ছে টাকা খাওয়ার ধান্দা।বিবেক কে জাগান.........
সবাই যে খারাপ তা নয়, যে আপনার কাজের মূল্যায়ন করবে, যে কাজের সাথে সাথে জবান রক্ষা করবে, কাজ না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার স্ট্যাম্প সই করবে এসব তান্ত্রিকদের অভাব নেই কিন্তু এমন লোক ইউটিউব এ খুজলে পাবেন কই? যারা ইউটিউব চালায় ওরা কবিরাজ না, তান্ত্রিক না, এরা ব্যবসায়ী, এদের মাথায় একটা জিনিস ই কাজ করে ১০ জন ভিডিও দেখলে এক জন ফোন দেবেই আর সেটাই ওদের ধান্দার মূল উদ্দেশ্য। এসব জানোয়ারদের থেকে নিজে সাবধান থাকুন,অন্যকে সাবধান করুন।
যারা বিদেশে বসে তান্ত্রিকদের টাকা দেয় ওরা হলো বড় বেকুব ওদের বুজালে কোন লাভ নাই ।
ReplyDelete